অপরাধএক্সক্লুসিভবিনোদন

ছেড়ে দেওয়া হয়েছে চয়নিকা চৌধুরীকে

হেফাজতে নেওয়ার পর চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চয়নিকা চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।পরিবারের জিম্মায় শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাত ১১টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, রাত ১১টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চয়নিকা চৌধুরীকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় তার মেয়েসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে চয়নিকা চৌধুরীকে হেফাজতে নেয় ডিবি। পরে তাকে মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।সন্ধ্যায় বেসরকারি একটি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে বের হয়ে আসার পর চয়নিকা চৌধুরীর গাড়ি আটকায় ডিবি পুলিশ। সেখানে কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কথা বলেন ডিবির কর্মকর্তারা। পরে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।

এর আগে রাত ১০টায় মিন্টো রোডের কার্যালয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। সবাই প্রশ্ন করছিল, পরীমনির কথিত মা চয়নিকা চৌধুরীকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এ ছাড়া রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকেও কথিত এই মা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখন তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে যখন ডাকা হবে, তিনি আসবেন। এই শর্তে তাঁকে ছাড়া হচ্ছে।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারের পর রিমান্ডে থাকা মডেল পিয়াসা, মৌ ও পরীমণিকে ব্যবসায়ী ও উঠতি বয়সী ধনী তরুণদের নিয়ে ডিজে পার্টি করা এবং মাদকের আসর বসানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কারও কারও কাছ থেকে চয়নিকা চৌধুরীর নাম আসে।

তিনি বলেন, এছাড়া চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিনেত্রী ও অভিনেতার সঙ্গে প্রেম করিয়ে দেওয়া, বিচ্ছেদে সহযোগিতা, মাদক সরবরাহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।চয়নিকা চৌধুরী দেশের একজন আলোচিত পরিচালক। ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শেষ বেলায়’ নাটকের মধ্য দিয়ে পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। সে সিনেমার নায়িকা পরীমণি।

এই নাট্টনির্মাতাকে নিজের ‘মম’ বলে সম্বোধন করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিভিন্ন সময় তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। পরীমণির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সবসময় পাশে ছিলেন এই নির্মাতা। বিশেষ করে গত মাসে ঢাকার সাভারে উত্তরা বোটক্লাব কাণ্ডে সর্বদা পাশে থেকে পরীমণিকে সাহস জুগিয়েছিলেন চয়নিকা।

আরও দেখুন
Back to top button
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে ‘হানি ট্র্যাপ’ শিলাস্তি রহমান ‘Pushpa 2’ is coming to Bangladesh in Hindi ইব্রাহিম রাইসি যেভাবে ৫০০০ মানুষকে হত্যা করেছিলো