বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ ১০ তারিখ যদি গাড়িতে কেউ আগুন দেয় তবে তাদের পিটিয়ে মারা হবে

১০ তারিখ যদি গাড়িতে কেউ আগুন দেয় তবে তাদের পিটিয়ে মারা হবে

0
১০ তারিখ যদি গাড়িতে কেউ আগুন দেয় তবে তাদের পিটিয়ে মারা হবে

যাত্রী থাকুক বা না থাকুক বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীসহ শহরতলি ও আন্তঃজেলা রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

তবে গাড়িতে কেউ আগুন দিলে তাদের পিটিয়ে মারা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাকক্ষে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বাস চলাচল কেমন হবে এ বিষয়ে এক জরুরি সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, রাতে সব গাড়ি একসঙ্গে রাখতে হবে, সেখানে আপনারা রাত-দিন পাহারার ব্যবস্থা করবেন। যাত্রী নাই বলে রাস্তা থেকে গাড়ি উঠিয়ে নেওয়া যাবে না।বৈঠকে বাস মালিকরা বলেন, এর আগে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে মালিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ এখনও টানতে হয়। আমরা চাই না পুনরায় সেই ঘটনাগুলো ঘটুক।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, আগে বিএনপি-জামায়াত নেতারা সড়কে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছিল। আমরা আগামী ১০ তারিখ প্রতিটি বাস টার্মিনালে পাহারা বসাব। সব ধরনের আপত্তিকর ঘটনা আমরা রুখে দেব। যদি গাড়িতে কেউ আগুন দেয় তবে তাদের পিটিয়ে মারা হবে। আর এর দায়িত্ব নেবে মালিক সমিতি।

তারা বলেন, নগরবাসী বর্তমানে আতঙ্কিত। আজকে সকাল থেকে আমরা বাসে যাত্রী পাচ্ছিলাম না। এত যাত্রী কম থাকলে আমাদের সারাদিনের বাস চালিয়ে তেলের টাকা উঠছে না। এমন হলে ১০ তারিখ বাস নামাতে চাই না। রাস্তায় পার্কিং করে রাখা সব বাসের জন্য পাহারা বসাব।তবে এ কথার বিরোধিতা করে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, যাত্রী থাকুক আর না থাকুক, গাড়ি চলবে।

সভায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাস টার্মিনাল, গুলিস্তান টিবিসি রোড ও ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালের মালিক, শ্রমিক নেতাসহ ঢাকার সব পরিবহনের শতাধিক মালিক-শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।