বাড়ি অপরাধ রাজশাহীর ভূমি সহকারী কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল

রাজশাহীর ভূমি সহকারী কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল

1
রাজশাহীর ভূমি সহকারী কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুস সাত্তারের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর রাজশাহী জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, আরও ৫০০ টাকা বেশি নেওয়ার জন্য আবদুস সাত্তার একজন সেবাগ্রহীতার সঙ্গে জোরাজুরি করছেন। হাতে কাগজ তুলে দেওয়ার পর তিনি ওই সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কক্ষ থেকে বাইরে আসেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়ে আবদুস সাত্তার বলেন, তাঁর কার্যালয়ের একজন কর্মচারী অফিসের কম্পিউটারের আইডি ও পাসওয়ার্ড চেয়েছিলেন। না দেওয়ার কারণে তিনি ষড়যন্ত্র ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি সরকারি অফিসের নির্ধারিত টাকা চেয়েছেন। সেই টাকা চাওয়ার কথাই ভিডিওতে প্রচারিত হয়েছে। সেটা ঘুষ না।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ৪ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসার পর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল তাঁকে বরখাস্ত করেন। এক আদেশে ভিডিওর বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, আবদুস সাত্তার ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্ষেত্রে দাখিলায় উল্লিখিত টাকার পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা দাবি করেছেন।

যেখানে সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য কাঙ্ক্ষিত মানের ভূমিসেবা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেখানে তিনি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) অনুযায়ী, অসদাচরণ ও দুর্নীতিপরায়ণতার শামিল।

এতে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি চাকরিতে বহাল থাকলে এসব বিষয়ে তদন্ত ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য আবদুস সাত্তারকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী, সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।এ বিষয়ে আবদুস সাত্তার বলেন, রাত আটটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত কাগজ হাতে পাননি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় তিনি ওই কর্মচারীর বরখাস্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তাঁর কর্মকাণ্ডে (আবদুস সাত্তার) সরকার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।