ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার এই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়। এই রোডম্যাপের আলোকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ছক সাজিয়েছে ইসি।ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

এজন্য আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের মার্চে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ৩০০ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে তার খসড়া প্রকাশ করেছে ইসি।

এ জন্য জনসংখ্যার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। ঢাকার জনসংখ্যা বাড়লে জাতীয় সংসদে এ জেলার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, আবার জনসংখ্যা কমলে আসন সংখ্যাও কমতে পারে।

কর্মপরিকল্পনায় আরও রয়েছে আগামী মাসে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ। একই মাসে নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ, আগামী নভেম্বরে নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ। একই মাসে সুপারিশমালার খসড়া চূড়ান্তকরণ ও ডিসেম্বরে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা।

ইসির কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা, বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ নেওয়া, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ।

এছাড়া বিধিবিধান অনুসরণ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালু, অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম, নির্বাচনী কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোর আওতায় সম্পৃক্তকরণ ও ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম।

নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা একক নয়। বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সমর্থক, ভোটার, মিডিয়া, নাগরিক সমাজ ও পর্যবেক্ষকদেরও ভূমিকা রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রোডম্যাপে।

বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে 

Exit mobile version