বাড়ি অপরাধ স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আদালতে চার্জশিট

স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আদালতে চার্জশিট

0
স্ত্রী হত্যায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আদালতে চার্জশিট

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।  

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় চার্জশিট জমা দেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত দাবি করে ওই বছরের ৬ জুন মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তার মামলায় ২০২১ সালের ১২ মে তাকে তার মামলায় গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বাবুল আক্তার এখন ফেনী কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, মিতু হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। চার্জশিটটি নথিতে সংযুক্ত করে শিগগির আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে পিবিআই। পিবিআই জানায়, একই ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্ত এগিয়ে নিতে মিতুর বাবা মোশাররফের মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।

একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। সম্প্রতি আদালত এটিকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করেন। তাই আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে ও বিধিবিধান অনুসারে মিতুর বাবার দায়ের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুলের করা মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলবে।

অধিকতর তদন্ত চলাকালে আদালতের আদেশে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বাবুল আক্তারকে নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

অভিযোগপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার পর জানতে চাইলে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার নাইমা হাসান বলেন, ‘মিতু হত্যা মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আমরা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। মামলায় বাবুল আক্তারকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে মামলাটি তদন্ত করেছি।

পিবিআই কখনও পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে তদন্ত করে না। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা মামলাটির তদন্তভার পেয়েছিলাম। আড়াই বছরের তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে সবরকমের তথ্যপ্রমাণ আমরা পেয়েছি তাদের আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।’

বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে