রাজশাহীতে কিশোর গ্যাং সদস্য হেরোইনসহ গ্রেফতার

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর স্কুলছাত্র সামিউল আলমকে তুলে নিয়ে নির্যাতনকারী কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সন্ত্রাসী রবিউল আওয়ালকে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের হেরোইনসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। রোববার বিকালে র‌্যাব-৪ এর একটি দল ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।র‌্যাব-৪ এর সংশ্লিষ্ট সূত্র সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রবিউল আওয়াল আলোচিত স্কুলছাত্র সামিউল আলম নির্যাতন মামলার ২নং আসামি। গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মহিষালবাড়ি আলীপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রবিউল আওয়াল পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকালে রবিউল আওয়াল নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। র‌্যাব সদস্যদের দেখে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে তার প্যান্টের ডান পকেট থেকে ৯০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৪ আশুলিয়া ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আশিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।স্কুলছাত্র নির্যাতন মামলায় রবিউল আওয়ালকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানাবে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে পৌর এলাকার হলের মোড় থেকে গড়ের মাঠের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে স্কুলছাত্র সামিউল আলমকে অপহরণ করে লস্করহাটি একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় নিয়ে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে কিশোর গ্যাং সদস্যদের একটি দল। সামিউলের শরীরে দেওয়া হয় জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা। বর্তমানে সামিউল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্কুলছাত্র নির্যাতন মামলার ৬ আসামির মধ্যে হাসান তারেক গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আরএমপির দামকুড়া থানা পুলিশের হাতে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামি মেহেদী হাসান পলাশকে উপজেলার লস্করহাটি এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাকি তিন আসামি শাহরিয়ার জয়, সাগর হোসেন ও জাহিদ হোসেন এখনো পলাতক রয়েছে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

Exit mobile version