বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে শেখ হাসিনার বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে শেখ হাসিনার বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত

0
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েমের রোগমুক্তি কামনায় আজ বুধবার দোয়া মাহফিলে আয়োজন করা হয়।  জাতীয়তাবাদী যুবদল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ঐ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মঙ্গলবার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। জনগণের অকুণ্ঠ ভালোবাসা নিয়ে তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থেকেও তিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন। আজকের সেই নেত্রী ন্যূনতম চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘আমরা ভাবতেও পারি না, কল্পনাও করতে পারি না। এ ধরনের উক্তি কেউ করতে পারেন না। এটা সব রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত। এর একটাই কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। প্রতি মুহূর্তে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তিনি হিংসা করেন এবং সহ্য করতে পারেন না। যে কারণেই আজকের তাঁর বিরুদ্ধে অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলেন। এটা দেশের মানুষ কখনোই ভালো চোখে দেখে না।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেতের বক্তব্য নিয়েও সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি (মিশেল ব্যাশেলেত) সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, গুম হচ্ছে।‌ এগুলো বন্ধ করা প্রয়োজন। এ জন্য একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজনের কথাও বলেছিলেন তিনি।

অথচ হাইকমিশনার চলে যাওয়ার পর আমাদের দেশের মন্ত্রীরা প্রচার করেছেন মিশেল ব্যাশেলেত নাকি মানবাধিকার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। এখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি নাকি ভালো। তিনি নাকি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। আজকে হাইকমিশনের অফিস থেকে তাঁরা আবার বিবৃতি দিয়ে বলেছে সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যা কথা বলেছেন। এতে করে ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।’

বাংলা ম্যাগাজিন / এমএ