বাড়ি বাংলাদেশ বিএনপির নেতা–কর্মীদের যশোরের রাজপথে নামতে না দেওয়ার ঘোষণা যুবলীগের

বিএনপির নেতা–কর্মীদের যশোরের রাজপথে নামতে না দেওয়ার ঘোষণা যুবলীগের

0
বিএনপির নেতা–কর্মীদের যশোরের রাজপথে নামতে না দেওয়ার ঘোষণা যুবলীগের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে ও দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামসহ বিএনপির নেতা–কর্মীদের যশোরের রাজপথে নামতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা যুবলীগ।আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমরা যুবলীগ ঘোষণা করছি, যশোরে অনিন্দ্য ইসলামের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করব। তাঁর পক্ষে বিএনপি, যুবদল বা ছাত্রদলের কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা যশোরের রাজপথে নামতে দেব না।

ফেসবুক লাইভে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীদের হত্যার হুমকি ও গৃহযুদ্ধের ডাক দেওয়ার জন্য অনিন্দ্য ইসলামকে যশোরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তাঁকে যশোরের রাজপথে নামতে দেওয়া হবে না। তিনি যেখানে যাবেন, সেখানেই তাঁকে ছাত্রলীগ–যুবলীগের নেতা–কর্মীরা প্রতিহত করবেন।’

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজপথে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীদের হত্যার হুমকি ও গৃহযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য ইতিমধ্যে যুবদলের দুই নেতাকে দিয়ে যশোরে সাত কেজি বিস্ফোরক আনানো হয়েছে।

যশোর জেলা যুবলীগের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। তবে এতে যুবলীগের জেলা সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে দেখা যায়নি। সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জেলা বিএনপি ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত রোববার বিকেলে যশোর আদালত থেকে শহরের ঘোপ এলাকার বাড়িতে ফেরার পথে দড়াটানা মোড়ে অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে সামনের গ্লাস ভাঙচুর করেন যুবলীগের নেতা–কর্মীরা। চালক দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে ঘোপ এলাকার বাড়িতে ঢুকে পড়েন।

এরপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে বাড়ির সামনে গিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে শহরের লালদীঘির পারে গিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান।

এর আগের রাতে জেলার চার শীর্ষ নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে শহরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ যশোরে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

যুবলীগের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘আমি কী বলেছি, তা তো ফেসবুকে আছে। দেখলেই বোঝা যাবে। বিএনপি সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের হাতে অস্ত্র নেই। আছে জনসমর্থন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে রাজপথে সব মোকাবিলা করা হবে।’

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

More News