মতিঝিল বয়েজ হাইস্কুলে শিক্ষিকাকে অপমান

রাজধানী মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকাকে অপমান করার ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে কর্মরত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষক শাহীনা কবিরকে বহিরাগত এক যুবক স্কুলে ঢুকে উচ্চস্বরে অকথ্য ভাষায় শাসানোর বিষয়ে তাকে কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কিন্তু এরপর কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন তিনি।

গত শনিবার ‘এ ধরণের কোনো ঘটনা হয়নি’ বলে দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে দাবি করলেও আজ রোববার সন্ধ্যায় তিনি আমাদের বার্তাকে বলেছেন ‘যতটুকু হয়েছিলো তা মিটমাট হয়ে গেছে’।জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির বাংলা বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষিকার শাহিনা আক্তারকে স্কুলে ঢুকে শাসিয়েছে এক যুবক। দুষ্টুমি করায় এক ছাত্রকে বকা দিয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। বকা খাওয়া ছাত্র সে নালিশ ঠুকেছিলো বড় বোনের কাছে। পরদিন ওই শিক্ষার্থীর বড়বোনের বয়ফ্রেন্ড এসে হবু শ্যালকের বকা খাওয়ার শোধ নিয়েছেন ট্রিচার্স কমনরুমে সবার সামনে ওই শিক্ষিকাকে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হয়রানির ঘটনাটি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে এসেছে। তাই মতিঝিল বয়েজ হাইস্কুলের দীর্ঘদিন কর্মরত প্রধান শিক্ষককে রোববার শিক্ষা ভবনে তলব করা হয়। এসময় তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে শিক্ষক হয়রানির বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় ফের জানতে চাওয়া হয় প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলামের কাছে। প্রথমে বিষয়টি আগের মত অস্বীকার করলেও পরে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুলের মাঠে এক শিক্ষকের সঙ্গে অপর ছাত্রের ঝামেলা নিয়ে একটু অসুবিধা হয়েছিলো।

যতটুকু হয়েছিলো তা মিটমাট হয়ে গেছে’। ছাত্রটি সরি বলেছে।’ কিন্তু গত শনিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এ ধরণের কোনো ঘটনা হয়নি’।এ ঘটনায় স্কুলটির বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছেন। প্রাক্তন ছাত্ররা ফেসবুক গ্রুপে এ দাবি তুলেছেন। সেখানে একমত বর্তমান নবম-দশম শ্রেণির ছাত্ররা।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ

Exit mobile version