বাড়ি অপরাধ জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মারামারি

জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মারামারি

0
জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মারামারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের গ্রুপের কর্মীদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সকাল থেকেই হলের হাউজ টিউটর, স্টাফ, ছাত্রসহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের জিজ্ঞাসা করেছি। সবার সঙ্গে কথা বলে যেটা জেনেছি, হলের ছাদে ওঠা ও গান-বাজনা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মাঝে ঝগড়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা আপাতত হলের ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। হল প্রশাসন এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে বলে আশা করছি।

জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে মদ ও বিয়ার খাওয়া নিয়ে বাগবিণ্ডায় জড়ায় দুই পক্ষ। বাগবিণ্ডার এক পর্যায়ে সভাপতির পক্ষে ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের রাহীকে চড় দিলে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রায় ১০ আহত হন।

রাত ১১টার দিকে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন রানার সক্রিয় কর্মী মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হলে মদ নিয়ে আসেন। সেখানে রাত ১টা পর্যন্ত ফরিদ ও তার গ্রুপের কর্মীরা মদ পান করেন। এদিকে সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের গ্রুপের রাহী, শান্তসহ প্রায় ২০-২৫ জন নেতাকর্মী ওই হলের ছাদের আরেক পাশে বসে বিয়ার পান করেন।পরে হলের সভাপতি রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেলের আলোচনার মধ্য দিয়ে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

যদিও মদের আসরের বিষয়টি অস্বীকার করে কামাল উদ্দিন রানা বলেন, এখানে মাদক সেবন নিয়ে কোন ঝামেলা হয়নি। হলের ছাদে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে গান গাওয়া নিয়েই ঝগড়ার সূত্রপাত ঘটে। আমরা গিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছি। মদ পানের ব্যাপারটি কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব এবং হল প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও সাড়া মেলেনি।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী ফরিদের কাছে মাদক সেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিগত তিন বছর ধরে নামাজ পড়ি। আপনারা যদি আমার ডোপ টেস্টও করেন তারপরও কিছুই পাবেন না। আর ওই ঘটনা মূলত জুনিয়রের বসা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল। মাদক সেবন নিয়ে নয়।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

More News