স্কুলের ইন্টারনেটে ফেসবুক-ইউটিউব ব্যবহার দায় প্রধান শিক্ষকদের

সারাদেশের ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে সরকার। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) এর আওতায় এসব স্কুলে দেয়া ইন্টারনেট সংযোগ ও ২০ জিবি ডাটা ব্যবহার করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব বা অন্যকোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে।

যেসব প্রাইমারি স্কুলের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে সেসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, এসব স্কুলের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে অহেতুক ডাটা ব্যবহারের সব দায়-দায়িত্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বহন করতে হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

গতকাল বুধবার বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছে অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার আদেশটি প্রকাশ করা হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে জারি করা আদেশটি সব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় ৪১ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে এবং প্রতিটি বিদ্যালয়ে এক মাসে ৪০০ টাকার প্যাকেজে ২০ জিবি ডাটা সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে এ ইন্টারনেট সংযোগ সর্বোচ্চ ১০ জন শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে।

বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ মনিটরিং করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি ড্যাসবোর্ড রয়েছে। ড্যাসবোর্ড থেকে বিদ্যালয়গুলোর ইন্টারনেট ব্যবহারের স্ট্যাটাস তারিখ অনুযায়ী দেখা যায়। ড্যাসবোর্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ডাটার ব্যবহার কম হচ্ছে পাশাপাশি কিছু কিছু বিদ্যালয়ে অল্প দিনের মধ্যে ২০ জিবি ডাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। যেসব বিদ্যালয় অল্প দিনে ২০ জিবি ডাটা শেষ করে ফেলছে সেসব বিদ্যালয়কে ইন্টারনেট পেতে পরবর্তী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যেসব বিদ্যালয় মাসের মধ্যে ২০ জিবি ডাটা শেষ করতে পারছে না সেসব বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট ডাটা ক্যারিওভার হয়ে পরবর্তী মাসে যুক্ত হচ্ছে।অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, বিদ্যালয়ের শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব ব্যক্তিগত ডিভাইজে ব্যবহার করে দ্রুত ডাটা শেষ করা হচ্ছে, যা ড্যাসবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে।

যেসব বিদ্যালয়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব বা অন্যকোন স্যোসাল মিডিয়া ব্যবহার করে ডাটা ব্যবহার করা হচ্ছে সেসব বিদ্যালয়ে তালিকা ড্যাসবোর্ড থেকে সংগ্রহ করে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। অহেতুক ডাটা ব্যবহারের সকল দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বহন করতে হবে।

এ অবস্থায় ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া বিদ্যালয়ে প্রতি মাসে পাওয়া ২০জিবি ডাটা সুনির্দিষ্টভাবে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ

Exit mobile version