বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে কথা বলিনি,স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে কথা বলিনি,স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
নির্বাচন নিয়ে কথা বলিনি স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছিঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে, ভারতে গিয়ে এমন কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমি তার ধারে কাছেও নেই। এটি ডাহা মিথ্যা।’

সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তাঁকে নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তিনি তাঁর ধারেকাছেও নেই।আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের মধ্যেও মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। মন্ত্রীর বক্তব্যে সরকার ও আওয়ামী লীগে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেছেন।গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করার দরকার, সেটা করার জন্য তিনি ভারতকে অনুরোধ করেছেন।

ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত।পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।

একের পর এক বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তার বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সমর্থন চাওয়ার বিষয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দলের বক্তব্য নয়-   এমনটি দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ড. মোমেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন।

তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা একান্তই তার ব্যক্তিগত। বিরোধীরা বলছেন, ড. মোমেন সত্য ভাষণই দিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের অবস্থানই প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন।

এ কারণে তিনি আর মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। ঘরে-বাইরে তোপের মুখে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে এবার আইনি চ্যালেঞ্জও এসেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে তাকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন একজন আইনজীবী।