বাড়ি Bangla News ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত চক্রের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ঈদকে কেন্দ্র করে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গাজীপুরের গাছা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল রোববার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আয়নাল মিয়া, মো. আন্ডু মিয়া, মো. আজিজুল ইসলাম, উজ্জ্বল চন্দ্র মোহন্ত, মো. শাহিন, মো. রনি, মো. শহীদ ও মোহাম্মদ আবদুল হাকিম।

র‍্যাব জানায়, চুরির মামলায় জেলে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে জামিনে বেরিয়ে এসে মহাসড়কে ডাকাত শুরু করেন এই চক্রের সদস্যরা। গত পাঁচ বছর তাঁরা মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছেন। এই চক্রের অধিকাংশ সদস্যের বাড়ি উত্তরবঙ্গের রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায়।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এই চক্রের মূল হোতা শহিদুল ইসলাম। তিনি একসময় রিকশা চালাতেন। বেশি টাকা আয়ের লোভে পড়ে ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ছয়টি মামলা আছে। এই চক্রের সদস্যরা প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার মহাসড়কে ডাকাতি করেন।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আয়নাল ডাকাত দলের সরদার শহিদুল ইসলামের অন্যতম সহযোগী। তিনি গাজীপুরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। পাঁচ বছর ধরে তিনি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আয়নাল একসময় অটোরিকশা চালাতেন। তিনি মাদক চোরাচালনের সঙ্গেও জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতিসহ চারটি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-১ অধিনায়ক বলেন, এই চক্রে সদস্যসংখ্যা ১০ থেকে ১২। তবে কোনো ডাকাতির সময় তাঁদের ছয় থেকে নয়জনের দল কাজ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের কর্মকর্তা জানান, চক্রের সদস্যরা রংপুর এবং গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকার মহাসড়কে ডাকাতি করেন।

গ্রেপ্তার আন্ডু মিয়া ১৯৯৫ সাল থেকে চুরি ও ডাকতির সঙ্গে জড়িত। একসময় তিনি চা–দোকান চালাতেন। আন্ডু মিয়া মূলত অন্য ডাকাত দলের সরদার খোকন মিয়ার মাধ্যমে ডাকাতি শুরু করেন। ডাকাতির মামলায় জেলে গিয়ে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। পরে জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে ডাকাতি শুরু করেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার শহীদ তিন বছর ধরে এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, চুরি মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্য শাহিনের বিরুদ্ধে দুটি, উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে দুটি আজিজুলের ও হাকিমের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা রয়েছে।

Exit mobile version