দুই বছর আগে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মই বেয়ে পালিয়ে যাওয়া এক কয়েদিকে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।বুধবার শরীয়তপুরে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন নাওডোবা মিনাকান্দি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আবু বকর সিদ্দিক (৩৭) সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার চণ্ডীপুর এলাকার কেছের আলীর ছেলে। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ বন্দি ছিলেন তিনি।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আটকের পর আবু বকরকে শরীয়তপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।২০২০ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক মই বেয়ে পালিয়ে যান। এ জন্য সে সময় কারাগারের দুই কর্মকর্তা ও চার কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। আর পালানোর ঘটনায় আবু বকরের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।
শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে আবু বকর ওই এলাকায় কেন গিয়েছিলেন তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।তিনি বলেন, ‘বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিনাকান্দি চৌরাস্তা এলাকায় আবু বকর ঘোরাফেরা করছিলেন। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এর পরই তাকে আমরা গ্রেপ্তার দেখাই। আবু বকর পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার প্রথম গ্রেপ্তারকৃত আসামি। ‘
২০২০ সালের ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক মই বেয়ে পালিয়ে যান। এ জন্য সে সময় কারাগারের দুই কর্মকর্তা ও চার কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। আর পালানোর ঘটনায় আবু বকরের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আটকের পর আবু বকরকে শরীয়তপুরের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এর আগে একটি হত্যা মামলায় আদালতে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। পরে আপিল করলে সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন আবু বকর।