বাড়ি Bangla News জুরাইনে সদ্য বিধবা ভাবীকে সম্পত্তির জন্য খুন করলেন দেবর

জুরাইনে সদ্য বিধবা ভাবীকে সম্পত্তির জন্য খুন করলেন দেবর

0
জুরাইনে সদ্য বিধবা ভাবীকে সম্পত্তির জন্য খুন করলেন দেবর

কিডনি রোগে সাড়ে পাঁচ মাস আগে মারা যান আবুল কাশেম। সিয়াম মাহমুদ (১২), সাবা আক্তার (১০) ও সাফায়াত মাহমুদকে (৪) আগলে রেখে সংসার করছিলেন মা নাজমা বেগম (৩২)। স্বামীর সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে দেবরের হাতে প্রাণ দিতে হলো। এতিম হলো তিন শিশু।শনিবার সকালে রাজধানীর জুরাইনে নিজের বাসাতেই খুন হন নাজমা। পুলিশ খুনে জড়িত তার দেবর আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করেছে।

নাজমার আরেক দেবর নাসির উদ্দিন সোহেল বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাবি রান্নাঘরে নাশতা বানাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে মেজভাই কালামের সঙ্গে তার ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় সেখানে প্রথমে তাকে ফল কাটা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন কালাম। এরপর রান্নাঘরে থাকা দা ও বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। ভাবির আর্তচিৎকারে সবাই ছুটে গেলে কালাম পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটকানো হয়। ভাবিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে লোভ করেন মেজভাই আবুল কালাম। যৌথ পরিবারে থাকলেও তিনতলা বাড়িটি তিনি একাই দখলে নিতে চান। এ নিয়ে বড় ভাবির সঙ্গে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। ভাতিজি-ভাতিজার এতিম হয়ে গেল। আবুল কালাম আমাদের পরিবারের কেউ না, তিনি একজন খুনি। এ জন্যই তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

স্বজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নাজমা বেগম তার তিন সন্তান নিয়ে ৪৪ নম্বর পশ্চিম জুরাইনে স্বামী আবুল কাশেমের তিনতলা বাড়িতে থাকতেন। পেশায় ব্যবসায়ী কাশেম গত ডিসেম্বরে কিডনি রোগে মারা যান। এরপর থেকেই সম্পত্তিসহ পারিবারিক নানা বিষয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। সম্পত্তি নিয়েই ভাবি নাজমার সঙ্গে শত্রুতা সৃষ্টি হয় আবুল কালামের।

আটক আবুল কালাম দাবি করেন, এক সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। তার পাঠানো টাকা দিয়েই পরিবার সম্পত্তির গড়ে এখন তাকে বঞ্চিত করছে। স্বজনদের কাছে ১৫ লাখ টাকা পান। স্ত্রী চলে যাওয়ায় নানাভাবে কটাক্ষ করা হতো। এসব কারণে হতাশ ছিলেন। হতাশা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের শ্যামপুর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী রোমানা নাসরিন বলেন, নিহতের পরিবার বলেছে, সম্পত্তি দখল করতে নাজমাকে খুন করেছেন দেবর আবুল কালাম। কালামের পরিবারের ভাষ্যও একই। অভিযুক্ত ভিন্ন কথা বলেছেন। মামলা হয়েছে। কালামকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।