বাড়ি অপরাধ বিয়ের প্রলোভনে দফায় দফায় সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বিয়ের প্রলোভনে দফায় দফায় সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0
বিয়ের প্রলোভনে দফায় দফায় সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ফের বিয়ের প্রলোভনে দফায় দফায় সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এমএইচ ইউসুফের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে এমএইচ ইউসুফের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সাবেক স্ত্রী। ওই ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণকারী ইউসুফকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্য দিয়ে তার নানা অপকর্ম তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী বলেন, ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে এমএইচ ইউসুফের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার করা অবস্থায় আমার একটি ছেলে সন্তান হয়। এমতাবস্থায় তার আগের বিয়ের বিষয়টি জানার পর পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। পরে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৮ সালে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।

জানা যায়, ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তির দাবিতে ৬ মে ফুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারী (২২)।অভিযুক্ত এমএইচ ইউসুফ (৪২) পৌর শহরের আমুয়াকান্দা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু আইয়ুবের ছেলে।আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর এলাকার হালুয়াঘাট রোডের সিকদার মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের পর ২০১৯ সালে মানিক আহামেদ ডলারের সঙ্গে আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ইউসুফ আমাকে পুনরায় বিয়ে করার কথা বলে দ্বিতীয় স্বামী মানিক আহামেদ ডলারকে তালাক দেওয়ার জন্য বাধ্য করলে ২০২১ সালে দ্বিতীয় স্বামী মানিক আহামেদ ডলারের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তালাক দেওয়ার পরে ইউসুফ আমাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

তিনি আরো বলেন, ইউসুফ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি দুইবার পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি একাধিক প্রতারণা মামলা, মাদক মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি বলেও দাবি করেন তিনি।ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত এমএইচ ইউসুফের মোবাইল নম্বরে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও যোগ করেন, গত ৩ মে তার বসতবাড়িতে নিয়ে আবারও আমাকে ধর্ষণ করে। পরে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন তালবাহানা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরদিন আবারও তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা বললে ব্যাপক কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেবা ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে। এছাড়াও আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসামি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি ইউসুফ প্রভাবশালী হওয়ায় ও তাঁকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের সহায়তা দাবি করেন তিনি।