বাড়ি অপরাধ ‘ফ্রুটিক্স’ নামের আমের নকল জুসের কারখানায় অভিযান, আটক ১২

‘ফ্রুটিক্স’ নামের আমের নকল জুসের কারখানায় অভিযান, আটক ১২

‘ফ্রুটিক্স নামের আমের নকল জুসের কারখানায় অভিযান

বগুড়ার শাজাহানপুরে একটি নকল জুস কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল জুসসহ কারখানার মালিক ও ১১ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় জুস তৈরির মেশিন, কাঁচামাল, কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।

শাজাহানপুর থানার এসআই হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের জোড়া মন্ডলপাড়া এলাকায় টহল দেওয়ার সময় একটি বাড়ির সামনে দুই-তিনটি ভ্যান, অটোটেম্পু দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তারা। এ সময় পুলিশকে দেখে দুজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এতে সন্দেহ হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি জানানো হয়। পরে ফোর্সসহ এসে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ‘ফ্রুটিক্স’ নামের আমের নকল জুস ও আইস ললি তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কারখানার মালিক বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সেলিম খান (৩৫)। তিনি বর্তমানে বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম আব্দুল্লাহ মোড় এলাকায় আলফাজ আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।কর্মচারীরা হলেন আব্দুর রহিম (৩৩), রমজান আলী (২০), রায়হান আলী (২০), সাজেদা বেওয়া (৪৫), শাহিনুর বেগম (৪০), রাজিয়া সুলতানা (৩৮), ইয়াসমিন আক্তার রেশমা (২২), মালা আকতার মিম (২২), রেহেনা পারভীন (৪৫), রাশেদা বেগম (৫০), পারভীন বেগম (৫০)।এ ঘটনায় মামলা দায়ের শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সেখান থেকে কারখানার মালিক বাচ্চু শেখসহ ১১ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ নকল জুস তৈরির কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও মেশিন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার সেলিম খান জোড়া মন্ডলপাড়া গ্রামের সোহেল রানা ওরফে সোহেল মাস্টারের (৪৫) বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে যোগসাজসে নকল জুসের ব্যবসা করে আসছেন। এ ঘটনায় কারখানার মালিক সেলিম খান ও বাসার মালিক সোহেল রানা ওরফে সোহেল মাস্টারসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাসার মালিক সোহেল মাস্টার পলাতক রয়েছেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই চক্রটি ড্রাগন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বাংলাদেশ লিমিটেড, বগুড়া নামে একটি কারখানা স্থাপন করে ফ্রুটিক্স নামে আমের নকল জুস তৈরি করে বাজারজাত করছিলেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version