বাড়ি এক্সক্লুসিভ কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম আরও কমপক্ষে দুই দিন সহ্য করতে হবে

কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম আরও কমপক্ষে দুই দিন সহ্য করতে হবে

1
কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম

কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম আরও কমপক্ষে দুই দিন সহ্য করতে হবে। সিলেট ছাড়া দেশের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে দাবদাহ বইছে। আগামী শুক্রবারের আগে তা সামান্যই কমতে পারে। শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ ব্যাপারে বলেন, আগামী ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার এক-দুই দিন আগে মেঘের ঘনঘটা বাড়তে পারে। ফলে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে তাতে গরমের তীব্রতা সামান্যই কমবে। বৃষ্টি শুরু হলে তা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে। তখন গরম কমে আসবে।

রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশে মেঘের সামান্য আনাগোনা বেড়েছে। এতে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমেছে। তবে এতে গরমের অনুভূতি খুব বেশি কমেনি। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতে তাপমাত্রা কমার হার উনিশ–বিশ হলেও গরম কমার কোনো হেরফের হয়নি। বিশেষ করে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট আর ধুলা-ধোঁয়া মিলেমিশে নাগরিকদের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আবহাওয়াবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্কু ওয়েদারের হিসাবে, ঢাকাসহ বেশির ভাগ শহরের তাপমাত্রা পারদের হিসেবের চেয়েও কমপক্ষে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি অনুভূত হচ্ছে। শহরের কংক্রিটের অবকাঠামো, পিচঢালা সড়ক আর যানবাহনের ধোয়া এবং ধুলার কারণে বেশি তাপমাত্রার এই অনুভূতি হচ্ছে বলে আবহাওয়া ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয়েছে। এর বাইরে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, মাদারীপুর ও পাবনায় মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে গেছে। ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ বড় শহরের তাপমাত্রা দাবদাহের কাছাকাছি অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।

More News