বাড়ি অপরাধ বাবার কোলে শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ...

বাবার কোলে শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

বাবার কোলে শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুরে বাবার কোলে চার বছরের শিশু তাসপিয়া আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার সুরের পোল এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবরোধের খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে নিহত শিশু তাসপিয়ার লাশ গ্রামে পৌঁছালে এলাকার মানুষ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁরা তাসপিয়ার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কিছুক্ষণ সড়কে অবস্থান করেন। তাঁদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।

অবরোধ কর্মসূচির কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে পড়ায় দুর্ভোগের শিকার হন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। পরে বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ এসে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন। তাঁরা শিশুটিকে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।

পরে বাদ আসর পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে তসপিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আজিম। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। সেই সঙ্গে তাসপিয়ার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। জানাজা শেষে তাসপিয়ার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেল চারটার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবা আবু জাহেরের কোলে থাকা চার বছরের শিশু তাসপিয়া আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। একই ঘটনায় বাবাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মালেকার বাপের দোকান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শিশু তাসপিয়া হত্যার ঘটনায় তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল অভিযুক্ত রিমনসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version