দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এতে যুবদলের অন্তত সাত নেতা–কর্মী আহত হন। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, যুবদলের নেতা–কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। দায়িত্বরত পুলিশকে ধাক্কা দেন। এ সময় পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের লাঠিপেটার পর বিক্ষিপ্ত নেতা–কর্মীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী। অন্যদের বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুনবী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল সরকার, শহর বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকারিয়া ও সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজনের বরাতে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে গাইবান্ধা যুবদল। দুপুর ১২টায় শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ১ নম্বর ট্রাফিক মোড়ের দিকে কয়েক গজ এগোতেই পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা বাধা অতিক্রম করতে চাইলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এতে জেলা যুবদলের সাতজন আহত হন। তাঁদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বক্তারা বলেন, ভোটচোর সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের ওপর পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ বিনা উসকানিতে নেতা–কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। বক্তারা আরও বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে তাঁর সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই সরকারকে উৎখাত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নেতারা।