বাড়ি অপরাধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অপসারণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অপসারণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলীকে চাকরি থেকে অপসারণ

আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আ হ ম আবদুল্লা হারুনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সংস্থার সচিব করামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে এই প্রকৌশলীকে গতকাল সোমবার চাকরিচ্যুত করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানা গেছে।

দপ্তর আদেশে বলা হয়, এ কর্মকর্তার নানা কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন। এতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি  করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এ জন্য তাঁকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারি চাকরি বিধিমালা ২০১৯–এর ৬৪ (২) বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষায় চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি কেবল বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন পাবেন।

দক্ষিণ সিটির সচিব দপ্তর সূত্র বলছে, আবদুল্লা হারুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ও একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ চালিয়ে নেওয়ার সময় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কাজ শেষ না করে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত বিল দিয়েছেন। এতে করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে কদমতলী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনের দুই পাশে জমানো বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজেও ২৮ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল।

এ কাজেও তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। যেমন দরপত্রে রেললাইনের দুই পাশে মোট বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টন, যার মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হবে ৫ হাজার টন। বাকি ১ লাখ ১৫ হাজার টন মাটি ও রাবিশ, যা বিক্রয়যোগ্য।

অথচ মাটি ও রাবিশ সরানো বাবদ ওই দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়।এদিকে দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, প্রায় ১২ কোটি টাকা আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে এই প্রকৌশলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। 

Exit mobile version