বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বাসায় ফিরলেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বারিধারার এই হাসপাতাল থেকে গুলশানে নিজের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হন। পরে সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাসায় পৌঁছান।হাসপাতাল থেকে তিনি তার ব্যবহৃত নিশান পেট্রোল জিপটিতে করে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তার গাড়ির সামনের সিটে গৃহকর্মী ফাতেমাকে দেখা যায়। তিনি গাড়ির দ্বিতীয় সিটে বসেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তিনি। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চে তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর গুলশানের ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি।গত বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে দফায় ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িটি যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিল তখন শতাধিক নেতাকর্মী তার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির নেতারা এর মধ্যে বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়ার জীবন শঙ্কা প্রকাশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। এ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে বিএনপি।পরীক্ষা–নিরীক্ষায় খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন।
গত নভেম্বরে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিএনপির নেতারা জানিয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর অন্তত দুটি বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত হন।চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত ৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।