বাড়ি অপরাধ কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকতকে কনডেম সেলে স্থানান্তর

কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকতকে কনডেম সেলে স্থানান্তর

কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকতকে কনডেম সেলে স্থানান্তর

সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে কারাগারের সাধারণ সেল থেকে সরিয়ে কনডেম সেলে নেওয়া হয়েছে।

জেলা কারাগারের সুপার মো. নোছার আলম সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী এতদিন কারাগারে ভিআইপি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। ফাঁসির আদেশ পাওয়ার পরপরই তাদের সেই সুবিধাগুলো বাতিল করা হয়েছে।

কনডেম সেল মূলত ৬ ফুট বাই ৬ ফুট একটি ছোট ঘর। যেখানে ফাঁসির আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে পর্যন্ত রাখা হয়। অন্ধকার এ ঘরের ভেতরেই থাকে শৌচাগার। যেখানে একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন, সেখানে বসেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত।

এর আগে, অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আজ সোমবার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।এ মামলায় এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

Exit mobile version