বাড়ি অপরাধ অভিনেত্রী শিমুর স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন

অভিনেত্রী শিমুর স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন

2
অভিনেত্রী শিমুর স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।অভিনেত্রী শিমুর লাশ গুম করতে তাঁর স্বামীকে বন্ধু (স্বামীর) ফরহাদ সহায়তা করেছেন।আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার। পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গতকাল সোমবার শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তাঁর বন্ধু ফরহাদকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল দিবাগত রাত চারটার দিকে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৩৪ গ্রীন রোড এলাকা থেকে তাঁদের দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হুন্দাইয়ের ছাই রঙের একটি ব্যক্তিগত গাড়ি উদ্ধার করা হয়। শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীমের বাড়ি ফরিদপুরের কমলপুর গ্রামে। তাঁদের ১৫ বছরের এক মেয়ে ও ৭ বছরের এক ছেলে আছে।

দাম্পত্য কলহের জেরে অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে তাঁর স্বামী হত্যার পর বন্ধুর সহায়তা নিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার এ কথা বলেন।এসপি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুর স্বামী তাঁকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন। হত্যার পর লাশ গুমে তিনি বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেন।

আজ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, গত রোববার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে যেকোনো সময় শিমুকে হত্যা করা হয়। যে গাড়ি ব্যবহার করে শিমুর লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছে, সে গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল।

গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল।এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।