বাড়ি এক্সক্লুসিভ খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে

খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে

0
খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। রোববার রাত আটটার পর তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়।খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। কেবিনে সিসিইউর সকল সুবিধাদি রাখা হয়েছে এবং সিসিইউর নার্সরা কেবিনে তার সেবায় নিয়োজিত থাকছেন বলে জানা গেছে।

গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর অন্তত দুটি বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত রয়েছেন।এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। দলটির ভাষ্য, সরকার আইনের অজুহাতে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।

হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এই দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত আছেন। তারা ইতোমধ্যে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সুপারিশ করেছে। সেই অনুযায়ী পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পঞ্চম দফা আবেদনও করেন। কিন্তু সরকার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। একই দাবিতে সারা দেশে নানা কর্মসূচিও পালন করে আসছে বিএনপি।

গত বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছে না। জেনেশুনে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অভাবে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে প্রত্যেককে হত্যা মামলার আসামি করে বিচার করা হবে।’