বাড়ি অপরাধ মিরপুর থেকে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিন...

মিরপুর থেকে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার

0
মিরপুর থেকে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার

রাজধানীর মিরপুর থেকে জাল নোট তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাণিজ্য মেলা এবং শীতকালীন উৎসব ও মেলাকে সামনে রেখে তৎপরতা বাড়িয়েছিল চক্রটি।

আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, গতকাল রাতে মিরপুরের পল্লবী থেকে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এই চক্রের চারজনকে জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ছগির হোসেন (৪৭), সেলিনা আক্তার (২০) ও মো. রুহুল আমিন (৩৩)। তাঁদের কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট, ৫টি মুঠোফোন, ২টি ল্যাপটপ, ১টি সিপিইউ, ১টি মনিটর, ৩টি প্রিন্টার, ১টি হেয়ার ড্রায়ারসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ছগির ও রুহুল আমিন এর আগেও জাল টাকা তৈরির দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

চক্রটি ঢাকা ও বরিশালে তৎপর বলেও জানায় র‌্যাব। কীভাবে এই চক্রের তৈরি জাল নোট সরবরাহের কাজ হতো, সে সম্পর্কে খন্দকার আল মঈন বলেন, ছগির নিজেই স্থানীয় বাজার থেকে জাল নোট তৈরির উপকরণ, যেমন টিস্যু পেপার, প্রিন্টারের কালি—এসব কিনতেন। ছাপা ও টাকার আকৃতিতে কাটার কাজটিও একাই করতেন। জাল নোট তৈরির পর দলের অন্য সদস্যদের তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতে বলতেন ছগির।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, ছগির ১৯৮৭ সালে বরগুনা থেকে ঢাকায় এসে প্রথমে একটি হোটেলে বেয়ারার কাজ নেন। পরে সেখান থেকে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় যোগ দেন। কারখানায় কাজের সময় ইদ্রিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ইদ্রিসের মাধ্যমে জাল নোট তৈরিতে হাতেখড়ি হয় ছগিরের। ২০১৭ সালে জাল নোটসহ দুজনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। এক বছর জেল খেটে বেরিয়ে আবার তাঁরা একই কাজে জড়ান। র‌্যাব বলছে, তৈরি জাল নোট নানা জায়গায় বিক্রির কাজ করতেন সেলিনা, রুহুল আমিনসহ চক্রের বাকি সদস্যরা।

র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ১ লাখ টাকার জাল নোট বিক্রি করতে ছগির ১০-১৫ হাজার টাকা নিতেন। দলের অন্য সদস্যরা জাল নোট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলে, তাঁদের নির্দিষ্ট অঙ্কের বোনাসও দিতেন।র‌্যাব বলছে, সেলিনার স্বামীও জাল নোট তৈরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি বর্তমানে কারাগারে।

সেলিনা প্রথমে পারলারে কাজ করলেও স্বামীর মাধ্যমে এই পেশায় জড়ান। অন্যদিকে রুহুল আমিন সম্পর্কে খন্দকার আল মঈন বলেন, তিনি (রুহুল আমিন) ছগিরের সহযোগী। এর আগেও তিনি একই কারণে ধরা পড়েছেন।এ বিষয়ে আসামিপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।