বাড়ি এক্সক্লুসিভ এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ পাসের গড় হার ৯৩.৫৮

এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ পাসের গড় হার ৯৩.৫৮

0
এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ পাসের গড় হার ৯৩ ৫৮

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সারা দেশের ৫ হাজার ৪৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ। আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের গড় হার ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২.৮৭ ভাগ। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ৪৯৪ টি। অন্যদিকে শুন্য পাশের সংখ্যা ১৮ টি প্রতিষ্ঠানে।এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্য উত্তীর্ণ হয়েছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন।

আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। এই “http://www.educationboardresults.gov.bd/”ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে। 

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫৩০ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৮।

ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৯৯ জন। সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪ জন এবং এই বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ১৮৭। যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ হাজার ৪৬১ জন। গতবারের চেয়ে এ বছর পাসের হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

১১ বোর্ডে সর্বমোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ টি। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮ জন ছাত্রী আর ৭৯ হাজার ৭৬২ জন ছাত্র।করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়, শেষ হয় ২৩ নভেম্বর। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২২ লাখ। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।

করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। অন্যান্য বছরের মতো এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে এই পরীক্ষা হয়।এবার অন্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বর দেওয়া হয়।