বাড়ি অপরাধ বাবার সন্তানকে অস্বীকার, মায়ের পাশে সিআইডি

বাবার সন্তানকে অস্বীকার, মায়ের পাশে সিআইডি

1
বাবার সন্তানকে অস্বীকার মায়ের পাশে সিআইডি

সিরাজগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এক ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বাবা হতে রাজি হননি ওই নবজাতকের বাবা। এ নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে শাহজাদপুর কোর্টে অভিযোগ দাযের হলেও তার তদন্ত এখনো চলছে।

আর এই অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়েই সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ অন্তঃসত্ত্বা মায়ের দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া মামলার সঠিক তদন্ত আর নবজাতকের দেখভালের দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার।

মামলার বিবরণ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের পিয়ারা খাতুনের বিয়ে হয় চৌহালীর জিদপুরে। কিন্তু পারিবারিক নানা কারণে তালাকপ্রাপ্ত হন পিয়ারা। এরপর বছর খানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল পিয়ারার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিয়েও করেন তারা। পরে পোশাক কারখানায় কাজ করার জন্য পাড়ি জমান ঢাকার সাভারে। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। এর মধ্যে পিয়ারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

কিন্তু বেশ কিছুদিন পর হাফিজুল বাচ্চা প্রসব করার জন্য পিয়ারাকে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপরই বিয়েসহ গর্ভের সন্তান সব কিছুই অস্বীকার করেন হাফিজুল। উপায় না পেয়ে পিয়ারা ছুটে যান চৌহালীর খাস কাউলিয়া রিপন কাজীর কাছে। কিন্তু কাজীও বিয়ের বিষয় অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান, মেয়েটির পিতৃত্বের পরিচয় সঠিকভাবে নিরুপণের জন্য সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। মানবিক কারণেই তারা অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও ফুটফুটে শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে তারা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অসহায় এ মা ও শিশুটির পাশে থাকবেন বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।

এমতাবস্থায় চলতি বছরের নভেম্বরে শাহজাদপুর আদালতে বিয়ে এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা। আর এই অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সিরাজগঞ্জ সিআইডি। তদন্ত এখনো চলছে। এরই মধ্যে গর্ভের সন্তান বাড়তে থাকে। গতকাল সোমবার প্রসবের ব্যথা উঠলে স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেন পিয়ারা। মানবিক কারণে সিআইডির কর্মকর্তা শাহজাদপুরের জামিরতা থেকে পিয়ারাকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে এনে সব ব্যবস্থা করেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জন্ম নেয় একটি মেয়ে সন্তান।