বাড়ি এক্সক্লুসিভ রাবি শিক্ষার্থী চিশতী বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান হলেন

রাবি শিক্ষার্থী চিশতী বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান হলেন

0
রাবি শিক্ষার্থী চিশতী বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান হলেন

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় কমলাবাড়ী ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহমুদ ওমর চিশতী। মাত্র ২৫ বছর ১ মাস ১ দিন বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অবাক করেছেন চিশতী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তিবিষয়ক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) লালমনিরহাটের ৩নং কমলাবাড়ী ইউনিয়নে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১৫শ ৯৪ ভোট বেশি পেয়ে পরাজিত করেন এই শিক্ষার্থী।জানা যায়, ভোটে চিশতী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৮ ভোট। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছে ৪ হাজার ৭২৩ ভোট। এছাড়া তার পিতা ও চাচা দীর্ঘদিন একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাচার মৃত্যুর পরে স্বীয় পদে নির্বাচন করে জয়ের মালা বরণ করার সৌভাগ্য অর্জন করলেন চিশতী।

১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করা মাহমুদ ওমর চিশতী ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি, ২০১৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি ও ২০১৯ সালে রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন। তিনি এখন রাবির একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম সুরুজ ছিলেন কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০০৩ সালের ২২ ডিসেম্বর নিজ বাড়ির পাশেই দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। পরে তার চাচা আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী কমলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া চিশতীর বড় ভাই ফারুক ইমরুল কায়েস আদিতমারী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

বিজয়ের পর নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে চিশতী জানান, আমার পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক পরিবার। সেই ধারাবাহিকতা রাজনীতিতে আসা। তাই জনগণ আমাকে তাদের পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ দেয়াই আমি কৃতজ্ঞ।তিনি বলেন, আমি সর্বদা চেষ্টা করব জনগণের পাশে থেকে সেবা করার। পাশাপাশি এলাকার অবকাঠামোর উন্নয়ন তরান্বিত করতে আমার বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে এসব এসব কার্যক্রম শুরু হবে।

মাহমুদ ওমর চিশতী বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে প্রথমে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। পরে যোগ্য মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। যেটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির। এ ছাড়া সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ মনোনয়ন পেতে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাকেও ধন্যবাদ জানাই। আমার বাবা-চাচা থেকে ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়নের মানুষের সেবা করে আসছি। মানুষের প্রতি যে দায়, তা পূরণ করতে নিজেকে নিয়োজিত রাখব।

গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৮টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হয়েছে ৮৩৮ ইউপিতে। কেননা, চারটির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। একটির ভোট বাতিল করেছে ইসি। আর পাঁচটিতে সব প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।