খুলনার কয়রা উপজেলায় একটি পুকুর থেকে বাবা-মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মাজেদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, স্থানীয় মাজেদের বাড়ির পাশের পুকুরে ওই তিনজনের লাশ ভাসমান অবস্থায় এলাকাবাসী দেখতে পান। এর পর তারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে নিহতদের লাশ উদ্ধারের কাজ শুরু করে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহগুলো পুকুরে ফেলে গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে কারা, কী কারণে তাদেরকে হত্যা করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।স্থানীয় লোকজন জানান, গ্রামের লোকজন ওই পুকুরের পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন। সকালে একজন পুকুর থেকে পানি নেওয়ার সময় মরদেহগুলো ভাসতে দেখেন।
পুলিশ জানায়, হাবিবুল্লাহর বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙ্গা এবং ঘরে রক্তের দাগ রয়েছে। দরিদ্র ওই পরিবারের বাড়ি থেকে লুট করার মতো তেমন কোনো মালামাল নেই। ধর্ষণের পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।পুলিশ আরও জানায়, নিহত হাবিবুল্লার হাত-পা বাঁধা ছিল এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের জামা কাপড় ছেঁড়া ছিলো।