বাড়ি এক্সক্লুসিভ নিখিলের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ নুসরাতের

নিখিলের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ নুসরাতের

2
নিখিলের বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ নুসরাতের

নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈনের সম্পর্কে নতুন বিষয়ের আবির্ভাব যেন চমকেই দিল সাধারণ মানুষকে। নিখিল ছিলেন উভকামী- এমন শিরোনামেই ভারতের বেশ কিছু বাংলা সংস্করণের পত্রিকা খবর প্রকাশ করেছে।

কয়েক মাস ধরে নুসরাত জাহান, যশ দাশগুপ্ত ও নিখিল জৈনের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে। এর মধ্যেই নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈনের সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য উঠে আসল। 

কাজের সূত্রেই প্রথমে আলাপ হয়েছিল নিখিল-নুসরাতের। নিখিলের বস্ত্র বিপণির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন নুসরাত। সেখান থেকেই প্রেম ও বিয়ে।লোকসভা নির্বাচনের আবহেই নিখিল জৈনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন নুসরাত। দিন কয়েকের মধ্যেই সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুদূর তুরস্কের বোদরুমে গিয়ে বিয়ের পর্ব সারেন নিখিল জৈনের সঙ্গে। তারিখটা ছিল ১৯ জুন। সেই রূপকথার বিয়ের ছবি সবাই দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। কিন্তু কেন মাস কয়েকের মধ্যে ভাঙল সেই সম্পর্ক? 

বিয়ের পরই নাকি নুসরাত দেখতে পান নিখিলের অন্য রূপ। নুসরাতের শারীরিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ ছিলেন নিখিল। নুসরাতের ঘনিষ্ঠমহল জানিয়েছেন, নিখিল উভয়কামী। আর এই বিষয়টা জানতে পেরে চরম মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন নুসরাত। নিখিলের অনেক সঙ্গীই নাকি নুসরাতেরও বন্ধু। তবে এ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলে নিখিল জবাব দেননি নুসরাতকে। সেই নিয়ে শুরু দুজনের মধ্যকার ঝামেলা।

সোমবার ভারতের প্রথম সারির সংবাদপত্রকে নুসরাত জানান, নিখিলের সঙ্গে বিয়ের ঘটনা কোনো দিন অস্বীকার করেননি তিনি, তাঁর বিবৃতির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আসলে ‘সহবাস’ শব্দের উল্লেখ নিখিল জৈন করেছেন, তাঁর পক্ষ থেকে পাঠানো আইনি নোটিশে। নিজের দাবির সপক্ষে সেই নোটিশের দুটি লাইন উল্লেখ করেছেন নুসরাত। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘in the circumstances the plaintiff is also not in a position to continue the relation or the union or the live in relationship.’ ‘লিভ ইন’ বা ‘সহবাস’ শব্দটি নিখিল ব্যবহার করেছেন এটা নুসরাতের ব্যাখ্যা। 

হিন্দুস্তান টাইমসকে নিখিল জানান, ‘এর আগেও মিডিয়াকে ব্যবহার করে বেশ কিছু কথা আমার নামে নুসরাত বলেছে, এবার বিষয়টা খুব বোরিং এবং একঘেঁয়ে হয়ে যাচ্ছে। আমি আপাতত নিজের জীবন ও লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ দিয়েছি। আমি একেবারেই চিন্তিত নই যে ক্ষমতায় থাকা মানুষজন কীভাবে মিডিয়াকে হাতিয়ার করে আমার ইমেজ নষ্ট করছে।’ নিখিল আরও বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ আনা নুসরাতের জন্য এখন ট্রেন্ড হয়ে গেছে।’

নিখিল জানান, ‘আমি সহবাস শব্দটা ব্যবহার করব কী করে? আমি তো নিজে ওকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছিলাম!’ নিখিল স্পষ্ট বলেন, ‘নুসরাত যশ দাশগুপ্তের সঙ্গেই থাকতে চান, সেটা বোঝার পর তিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।’ নিখিল জানান, বিষয়টি পুরো নোটিশ দেখলেই স্পষ্ট হবে, সেখানে লেখা রয়েছে, তিনি নুসরাতকে বিয়ে করেছিলেন।

বিয়ের মাস কয়েক পর, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নুসরাতের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর চাউর হয়েছিল। নিখিলের জন্মদিনের ঠিক পরেই ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন নুসরাত, এই খবর রটেছিল টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে, নিখিলের জন্মদিনের রাতে নুসরাত নিখিল ও তার এক বন্ধুকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। নিখিলের ওই বিবাহিত বন্ধুর স্ত্রীও নাকি দুজনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এবং শেষমেশ তাদের ডিভোর্স হয়।

তবে নুসরাতের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ওই বন্ধুর পাশাপাশি একাধিক রূপান্তরকামীদের সঙ্গে নিখিলের সম্পর্কের কথা নুসরাত জানতে পেরেছিলেন। তবে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগের শেষ এখানেই নয়। নিখিল নাকি নেশাগ্রস্ত থাকতেন, প্রায় সময়ই মাঝরাতে বাড়ি ফিরতেন, এবং বাথরুমে ঘুমিয়ে পড়তেন। পরে এর কিছুদিন পর এসব সহ্য করতে না পেরেই ‘বিয়ে’ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। এমনকি নুসরাতের আর্থিক বিষয়টাও পুরোটাই ‘কন্ট্রোলে’ রাখতেন নিখিল।