বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে সংঘর্ষ

নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে সংঘর্ষ

1
নিউ ইয়র্কে আওয়ামী লীগ বিএনপি র পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে সংঘর্ষ

জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দু’দলের নেতাকর্মীদের মাঝে।

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। শনিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এ ঘটনা ঘটে। বিকালে জ্যাকসন হাইটসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার  ফেস্টুন নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

অদূরেই বিএনপি, যুবদল, জাসাসের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে পাল্টা স্লোগান শুরু করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা, ধাক্কা-ধাক্কি এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে খবর পেয়ে শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির বেষ্টনী তৈরি করে। তার মধ্যেই দুই পক্ষ আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

আওয়ামী লীগের মিছিলে ছিলেন ড. সিদ্দিকুর রহমান, প্রদীপ কর, কাজী কয়েস, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, জাকারিয়া চৌধুরী, আব্দুল কাদের মিয়া, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, মোর্শেদা জামান, সুব্রত তালুকদার, নূরল আমিন বাবু, যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, জামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দরুদ মিয়া রনেল। উত্তেজনার খবর পেয়েই শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যেই দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি স্লোগান চালিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা ধীরে ধীরে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।

অন্যদিকে বিএনপির মিছিলে ছিলেন গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান, মিল্টন ভূইয়া, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, মোশারফ হোসেন সবুজ, জসীম ভূইয়া, কাজী আজম, মাকসুদ চৌধুরী, কাজী আসাদুল্লাহ, রুহুল আমিন নাসির, ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জনি।

এ পরিস্থিতিতে পথচারীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। অনেকে দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কাছের রেস্তোরাঁ বা দোকানে যারা ছিলেন, তারা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় ৩৭ এভিনিউ এবং ৭৩স্ট্রিটে যানবাহান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের রাস্তায় থমকে দাঁড়ায় গাড়ি।