ইভ্যালি সংযোগ নিয়ে তিন তারকা

প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তার হওয়ার পর গ্রাহকদের উৎকণ্ঠা এখন চরমে। এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বিভিন্নভাবে জড়িত ছিলেন কয়েকজন তারকাও। যদিও তারা দাবি করছেন প্রতারণার বিষয়টি অবগত হওয়ার পর নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন ইভ্যালি থেকে।

জানা গেছে, গেল ১০ মার্চ অনলাইনে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র ‘ফেইস অব ইভ্যালি’ (শুভেচ্ছাদূত) ঘোষণা করা হয় তারকা শিল্পী তাহসান খানকে। পরের মাস থেকে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গ্রাহকের পণ্য সময়মতো পৌঁছে না দিতে পারায় তোপের মুখে পড়তে থাকে ইভ্যালিকে। সবদিক বিবেচনা করে মে মাসের মাঝামাঝি সময় ইভ্যালি থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান তাহসান।

বহুল আলোচিত এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের কথা জানালেন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দেওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।ইভ্যালির সঙ্গে না থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‌‘আমি জয়েন করার দুই মাসের মধ্যে দেখি নানা জটিলতা। আগে তো এতো কিছু টের পাইনি। তবে আমি চাই না এই সময়ে ইভ্যালি রিলেটেড কোনো খবরে আসতে। আমার আরও অনেক কাজ আছে, সেগুলো নিয়েই এখন ব্যস্ত আমি।’

জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খান ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দুই বছরের চুক্তি করেছিলেন। তাহসানের সাবেক স্ত্রী ও মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশীদ মিথিলাও ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন। অন্যদিকে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া মাস কয়েক আগে ইভ্যালিতে যোগ দেন প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে। তিন তারকার ইভ্যালির সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে তারকাদের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, নিয়োগ পাওয়ার পর তিন মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাইনি। যোগদানের পর থেকেই জানতে পারি ভেতরে বেতন নিয়ে সমস্যা চলছিল। তাই তিন মাস কাজের পরই গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসি। যখন চাকরিতে ছিলাম তখনো ইভ্যালি নিয়ে আমি কোনো স্টেটমেন্ট দেইনি। এখন তো আর চাকরি করছি না, তাই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে কথা বলতে চাই না।  

Exit mobile version