বাড়ি অপরাধ এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

1
এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব হাসান ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।শুক্রবার র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক এসএমএসে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানান।তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।পরবর্তীতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

সুদ ছাড়া ব্যবসার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে। এ ব্যবসায় চালাতে ‘এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’, ‘এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেড’ খুলেছিল কোম্পানিটি। এ ছাড়া কয়েকটি মাদ্রাসাও খুলেছিল। এ গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলার মামলাও হয়েছে।

পিরোজপুরের এহসান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। গ্রুপটির বিরুদ্ধে ১৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন গ্রাহকরা।

গ্রাহকের টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি না কিনে কেনা হয় রাগীব আহসান এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনের নামে। সেসব জমির ৯০ শতাংশ গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের ১৬টিই উধাও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ থেকে ১৪ বছর আগে একটি মসজিদে নামমাত্র বেতনে ইমামতি করতেন মুফতি রাগীব আহসান। পরে ইমামতি ছেড়ে কাজ নেন একটি এমএলএম কোম্পানিতে। সেখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তোলেন এহ্‌সান রিয়েল এস্টেট। এখন এর নাম এহ্‌সান গ্রুপ পিরোজপুর। এ গ্রুপের অধীনে রাগীব গড়ে তোলেন ১৪টি প্রতিষ্ঠান।

ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মভীরু লোকজনের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।গ্রাহকদের বলা হয়, এক লাখ টাকার বিপরীতে মাসে দুই হাজার টাকা মুনাফা দেয়া হবে।

এভাবে ১০ হাজার জনের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দাবি করা গ্রাহকদের।এহসান গ্রুপের জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে জেলা প্রশাসন একটি কমিটিও গঠন করে। সে তদন্তে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সমবায় দপ্তর থেকে নেয়া লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে সংগ্রহ করা আমানত গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।