বাড়ি আইন-আদালত তৃতীয় দফায় ১ দিনের রিমান্ডে পরীমনি

তৃতীয় দফায় ১ দিনের রিমান্ডে পরীমনি

0
তৃতীয় দফায় ১ দিনের রিমান্ডে পরীমনি

মাদক মামলায় ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা পরীমনির তৃতীয় দফায় আরো এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বাংলা ম্যাগাজিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বনানী থানায় করা মাদক মামলায় পরীমনিকে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল সিআইডি। এই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার পরীমনিকে আদালতে হাজির করেছিল সিআইডি। আদালত সেদিন পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বনানী থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ১৬ আগস্ট মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পরীমনিকে ফের পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফা। আদালত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ছয়দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে আদালতে হাজির করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ৫ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বনানী থানার মামলায় তাদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত সোমবার আবার পরীমনির জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল গতকাল বুধবার। কিন্তু গতকাল শুনানি শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, পরীমনিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে সিআইডি। পরে আদালত আজ এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন। পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে ভয়াবহ মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমনির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন।