বাড়ি বিশ্ব সংবাদ ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে চাকরির আবেদন

ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে চাকরির আবেদন

1
ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে চাকরির আবেদন তরুণীর

ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে চাকরির আবেদন।স্বর্ণালী সামন্ত, ইতিহাসে প্রথমে শ্রেণিতে স্নাতক পাস করেও ‘ডোম’ পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। স্নাতকে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েও ডোম পদে চাকরির জন্য আবেদনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়। তবে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন তরুণী। স্বর্ণালীর মতে, কোনো কাজই ছোট নয়। তার চাকরি প্রয়োজন। স্বর্ণালীর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার শিবপুর এলাকায়।তবে প্রথম শ্রেণির স্নাতক হয়ে ডোম পদের চাকরিপ্রার্থী হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে। শুধু স্বর্ণালীই নন, স্নাতক ছাড়াও স্নাতকোত্তররাও আবেদন করেছেন ওই পদে। আবেদন করেছেন ইঞ্জিনিয়াররাও।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ইতিহাসে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন স্বর্ণালী। তারপরও ডোম পদে চাকরিপ্রার্থী হিসেবে আবেদন করেছেন তিনি। পদের নাম ল্যাব অ্যাটেনড্যান্ট বা পরীক্ষাগার সহকারী। এনআরএস হাসপাতাল গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয়।তবে স্বর্ণালীর ভাষ্য, যাদের চাকরি নেই, তাদের তো চাকরি দরকার। তা সে যে পদই হোক না কেন। কাজের কোনো ছোট বড় হয় না।তিনি বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে এনআরএসের ওই বিজ্ঞাপনটা দেখতে পাই। তার পর আবেদন করি। গত ২১ মার্চ পরীক্ষা ছিল। তবে সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায় আগস্টে।

মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে স্বর্ণালী বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পাই। এরপর আবেদন করি। সিভি, সকল সনদপত্র ও মার্কশিট আবেদনের ঠিকানায় পাঠাই। সেখান থেকে প্রবেশপত্র পাঠানো হয় ফেব্রুয়ারিতে। গত ২১ মার্চ পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা পিছিয়ে নেয়া হয় আগস্টে।বিষয়টি নিয়ে এতদিন পর শোরগোল শুরু হওয়ায় অনেক অবাক হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রথমে ‘পরীক্ষাগার সহকারী’ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও পরে খোঁজখবর নিয়ে পদটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হয়। তার ভাষ্যমতে, প্রথমে ল্যাব অ্যাটেনন্ডেন্ট হিসেবে চাকরি দেখেছিলাম। পরে ওটা ডোমের কাজ বলে জানতে পারি। বেতন ভালো হবে ভেবেই আবেদন করি।

জানা গেছে, স্বর্ণালীর স্বামী দেবব্রত কর্মকার একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থায় গাড়ি চালান। শিবপুরের ভবানী গার্ল স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হন। বর্তমানে তিনি ডালহৌসির একটি বেসরকারি সংস্থার রিসেপশনিস্ট হিসাবে চাকরি করছেন।তাঁর এক মেয়ে রয়েছে।

স্বর্ণালীর কথায়, প্রথমে দেখেছিলাম ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে চাকরি। পরে জানতে পারি, ওটা ডোমের কাজ। ভালো বেতন পাওয়া যাবে ভেবেই আবেদন করি।ডোম পদে চাকরি হলে কী করবেন? স্বর্ণালীর সোজাসাপ্টা জবাব, চাকরি পেলে কেন করব না? ডোমের কাজ জেনেই তো পরীক্ষা দিতে গেছি। কোনো ধরনের খ্যাতির লোভে পরীক্ষা দেইনি। আমার বাড়ির লোকজনও এটি মেনে নেবে।