বাড়ি জীবন-যাপন ছোট ফ্ল্যাট সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার উপায়

ছোট ফ্ল্যাট সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার উপায়

7
ছোট ফ্ল্যাট সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার উপায়

ছোট ফ্ল্যাট সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার উপায় ।”নীড় ছোট ক্ষতি নেই”! একটু সাজিয়ে  গুছিয়ে রাখলে আপনার ছোট বা মাঝারি সাইজের ফ্ল্যাটটিও হয়ে উঠতে পারে বন্ধু বান্ধব আর অতিথিদের কাছে আকর্ষনীয় । তাছাড়া, বাসের সুবিধার জন্যও চাকরিজীবী ও নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষদের কাছে ছোট ফ্ল্যাটের চাহিদাই বেশি । কিছু বিষয় মাথায় রেখে আপনার ছোট ফ্ল্যাটটি গুছিয়ে রাখুনে সহজেই।যত্ন ও পরিপাটির মাধ্যমে আপনার ফ্ল্যাটটিকে গুছিয়ে নিন মনের মতো করে।

জীবিকা আর প্রয়োজনের তাগিদে বর্তমান সময়ে নগরের একক পরিবারগুলোর সদস্যদের বেশিরভাগ সময়টাই বাইরে ব্যয় করতে হয়। তাই বলে যে ঘরে থাকা হয় না একেবারেই সেটা তো আর নয়! কাজেই যেটুকু সময়স ঘরে থাকতে হয় সেটুকু সময় একটু স্বস্তিতে নিশ্বাস না নিলে কী আর চলে? ওদিকে আবার মাথায় রাখতে হয় ফ্ল্যাট ভাড়ার বিষয়টাও। সাথে বাসা পরিষ্কারেরও রয়েছে নানা ঝক্কি।আর তাইতো এখন নগরের ছোট পরিবারগুলো ঝুঁকছে ছোট ফ্ল্যাটের দিকে। তবে ফ্ল্যাট ছোট হলেই যে ঘরগুলোকে  নিজের মনের মতো সাজানো যাবে না তেমনটা নয়। বরং একটু মাথা খাটালেই ছিমছাম সাজে সাজানো যাবে ঘরগুলো।

ছোট ফ্ল্যাটে সাধারণত আলাদা ডাইনিং এর জন্য রুম না ও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে বসার রুমের পাশেই রাখতে পারেন ডাইনিং টেবিল।জমকালো ভারী আসবাবপত্রের ব্যবহারে ঘরে আলো বাতাস সঠিকভাবে প্রবেশ করতে পারে না, তাই ছোট ফ্ল্যাটের জন্য ফার্নিচার বাছাই করুন ফ্ল্যাটের ধরন বুঝে।ফ্ল্যাটে রং করার সময় উজ্জ্বল রং নির্বাচন করতে পারেন যেমন সবুজ বা নীল রং । বিশেষ করে প্রবেশ পথে আপনার ফ্ল্যাটটির জন্য উজ্জ্বল যে কোন শেড ব্যবহার করুন, এতে আপনার ফ্ল্যাটটি সহজেই অতিথিদের নজড় কাড়বে। 

ঘরের জন্য হালকা রংয়ের পর্দা নির্বাচন করুন । পর্দায় ভারী ফেব্রিক ব্যবহার না করে সুতি কাপড়ের রং নির্বাচন করতে পারেন।দেয়ালের সাথে  সামঞ্জস্যপূর্ণ পেইন্টিং নির্বাচন করুন । খুব বেশী বড় বা বেশী ভারী পেইন্টিং লাগাবেন না ।ঘরে যাতে প্রচুর আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে, সেদিকে নজর দিন । ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করে ধুলোবালি মুক্ত রাখুন।অনেক ছোট হওয়ায় আধুনিক ফ্ল্যাটগুলোতে ঘরের ব্যাপ্তিও অনেক কম থাকে।এজন্যই  ছোট বাসার অন্দরসজ্জা নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না।এতো ছোট ঘরে কোথায় কোন আসবাব রাখব, কেমন আসবাব কিনলে ঘরের জায়গা কম লাগবে, দেয়ালে কোন রঙের ব্যবহারে ঘরে আলো ঢুকবে।অর্থাৎ আমাদের সমস্ত চিন্তাজুড়েই থাকে কীভাবে ছোট  ঘরটাকে একটু সুন্দর করে সাজানো যায়, সাথে ঘরটাকে একটু বড় দেখানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছোট কোন ফ্ল্যাটকে সাজাতে পছন্দ, চাহিদা, রুচিশীলতা এবং স্বক্ষমতা- এই চারটি বিষয়ের সমন্বয় ঘটান। আর তাহলেই ঘর দেখতে সুন্দর লাগবে একইসঙ্গে ছোট ঘরগুলো  বড় দেখাবে।

ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে আলো বাতাসের সঠিক আসা-যাওয়া। তাই আলো বাতাসের ব্যাপারটি শুধু বড় ফ্ল্যাটের জন্য নয়, বরং ছোট ঘরের জন্যও আবশ্যক। এক্ষেত্রে ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করার রাস্তায় হাল্কা রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। তবে পর্দার স্থানটিতে কোন অবস্থাতেই ভারী আসবাব রাখা যাবে না। ঘরের ভেতরে আলো-বাতাসের আনাগোনা ঠিক থাকলে মনটাও সবসময় প্রফুল্ল থাকে।ছোট ঘরে আয়না  খুব গুরুত্ব বহন করে। ডাইনিং বা ড্রয়িং রুমের একপাশে  আয়না থাকলে  রুমের আকার বিশাল দেখাবে আর ফ্ল্যাটও ছোট মনে হবে না।

ছোট ঘরের জন্য সাদা রঙের টাইলসই সবচেয়ে ভালো। যদিও এটি খুব সহজেই ময়লা হয়, তারপরও এটি ভালো। কারণ সাদা টাইলস ঘরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ঘরকেও বড় দেখাতে সাহায্য করে। তবে বাথরুম এবং রান্নাঘরে অন্য রঙের টাইলস ব্যবহার করা যেতে পারে।

দেয়ালে বৈচিত্র্য আনতে চাইলে নানা রঙের ওয়াল পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে।এক্ষেত্রে ওয়াল পেপার অবশ্যই লম্বা লম্বি ভাবে লাগাতে হবে। চাইলে যে কোন ছবির ফ্রেমও দেয়ালে লম্বালম্বি ভাবে রাখা যেতে পারে।ছোট ঘরে ভারী  ফার্ণিচার ব্যবহার করা উচিত নয়। ভারি ফার্নিচার বেশি জায়গা নেয়। আবার আলো বাতাস চলাচলেও বাঁধা দেয়। তাছাড়া ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে ছোট রুমের আকার আরো ছোট করে দেয়।হাল্কা আসবাবপত্রের পাশে সবুজ বা রঙ বেরঙ-এর গাছপালা দিয়ে ঘর সাজালে, ঘরে সজিবতা আসবে, পাশাপাশি ঘর প্রাণবন্ত ও সুন্দর দেখাবে। চাইলে ঘর সাজাতে কৃত্রিম ফুলও ব্যবহার  করা যেতে পারে।