বাড়ি করোনা ভাইরাস ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়নি

৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়নি

0
৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়নি

৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়নি।করোনাভাইরাসের দৌরাত্ম্যে দেশে বিপর্যয় নেমে এসেছে। সর্বাত্মক লকডাউন জারি করেও সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না।দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠকে বসে সরকার। সেই বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বলা হয়, চলমান সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে। এসময় বন্ধ থাকবে সব ধরনের শিল্প কারখানা।মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সংক্রমণ-মৃত্যু কোনোটিই কমছে না। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠকে বসেছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন। শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই।

সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ-বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কারখানা খোলার অনুমতির জন্য বারবার অনুরোধ এসেছে মালিকদের পক্ষ থেকে। তবে আমরা সেটা এলাউ কারিনি। চলমান এই লকডাউনের শেষ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ কড়াকড়িভাবে পালিত হবে। ৫ আগস্টের পর লকডাউন আর বাড়ছে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, টিকাদান কর্মসূচি আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। এক্ষেত্রে আগাম নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। সরকার টিকা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।লকডাউন বাড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লকডাউন বাড়ছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এই সংক্রমণ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কমবে। আমরা এ জন্য এই টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। আমাদের কাছে যে টিকা আসছে সেই টিকা দিয়েই আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। পরবর্তীতে যে টিকা আসবে সেগুলোও আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করব।