বাড়ি রাজনীতি আওয়ামী লীগ সম্মেলন ইস্যুতে ছাত্রলীগের সভায় হাতাহাতি

সম্মেলন ইস্যুতে ছাত্রলীগের সভায় হাতাহাতি

0
সম্মেলন ইস্যুতে ছাত্রলীগের সভায় হাতাহাতি

মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় সম্মেলন ইস্যুতে ছাত্রলীগের দুই অংশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং বিশৃঙ্খলা হয়েছে। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য মন্তব্যের বিপরীতে কয়েকজন নেতা সম্মেলনের দাবি করলে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে।

সভায় উপিস্থত ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সভার এক পর্যায়ে অনেকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ বর্তমান কমিটি ভেঙে দ্রুত সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান। এ জন্য ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে অনুরোধ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সভার শুরুতে নির্ধারিত বিষয়েই আলোচনা হয়। এর এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ সভাপতি জয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্মেলন নিয়ে আলোচনার অনুরোধ করেন সহসম্পাদক মেশকাত হোসেন। এর পর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ইমরানও সম্মেলনসহ বেশ কিছু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় কমিটিতে নতুন করে পদ পাওয়া নোবেল ও ‘চারু সোহাগ’ তাকে বাধা দেন। তখন ইমরান বর্ধিত কমিটিতে অনেক বিতর্কিতকে আনার অভিযোগ করলে হাতাহাতি শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইরমান বলেন, ‘সভায় আমি ছাত্রলীগের সম্মেলন কবে হবে জানতে চাই। এর আগে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকই সম্মেলনের প্রসঙ্গ ওঠান। আমি সভাপতি- সাধারণ সম্পাদককে বলেছি, আপনারা সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে সম্মেলনের বিষয়ে নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। নেত্রী কমিটি বহাল রাখতে বললে আমরা মেনে নেব।

‘তখন কমিটিতে নতুন সহসভাপতির পদ পাওয়া নোবেল আমাকে কথা বলতে বাধা দেন ও বসতে বলেন। এ সময় আমি নোবেলের প্রসঙ্গ টেনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বলি, ছাত্রদল করা ছেলেরা কীভাবে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হন?’

ইমরান বলেন, ‘এ কথা বলার সঙ্গেসঙ্গে নোবেল ও কমিটির আরেক নতুন সহসভাপতি সাগর হোসেন সোহাগ (চারু সোহাগ) আমার দিকে ধেয়ে আসেন। এ সময় আমাদের মধ্যে হাতিহাতির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের সিনিয়র নেতারা সবাইকে শান্ত করেন। এরপর সভা আবার শুরু হয় এবং ভালোভাবেই শেষ হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের আরেক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, সভায় অনেক নেতাই সম্মেলনের বিষয়টি সামনে আনেন। তারা দ্রুত সম্মেলন দিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন।

তখন ছাত্রলীগ সভাাপতি-সাধারণ সম্পাদক কী বলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা বলেছেন, নেত্রী চাইলে অবশ্যই সম্মেলন হবে। আমরা বিষয়টি দেখছি।’ এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তারা তা ধরেননি।