অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিল এমপি আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার

কুমিল্লায় লাইমাই পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এমপি আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে। ১৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করতে পাহাড়ের ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩০ ঘনফুট মাটি কাটা হয়। যার কোনো হদিস মিলছে না। এমপি বাহারের সমর্থকদের দাবি, ওই মাটি রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে। অথচ কুমিল্লা সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কটিতে পাহাড়ের কোনো মাটি ব্যবহার করা হয়নি।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ১৪ কিলোমিটার পিপুলিয়া-মগবাড়ি সড়ক প্রশস্তকরণে কাটা হয়েছে পাহাড়। আর এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলায় হুমকি দেয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্ততের উপ-পরিচালককে।

তবে, এখন শুধু পাহাড় কাটা বা হুমকি নয়, বিতর্ক শুরু হয়েছে পাহাড়ের মাটি বিক্রি নিয়েও। রাস্তার জন্য কাটা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৩০ ঘনফুট মাটি। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ের মাটি বিক্রি করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যা নিয়ন্ত্রণ করেছেন স্থানীয় এমপি বাহার।

এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি এমপি বাহার। তবে তার সমর্থকেরা বলছেন, পাহাড়ের মাটি রাস্তাতেই ব্যবহার করা হয়েছে। মাটি বাণিজ্যের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ জানান, পাহাড় কেটে রাস্তা করার কথা বলা হয়নি ওই প্রকল্পে। তারপরও পাহাড় কাটায় বন্ধ রাখা হয়েছে প্রকল্পের কাজ। এছাড়া পাহাড়ের মাটি রাস্তায় ব্যহার করা হয়নি।

চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইন জানান, বেআইনিভাবে পাহাড় কাটার অপরাধে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পাহাড়ের মাটি বিক্রি হলে এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার নেতা ডা. মোসলেহ উদ্দিন বলছেন, পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য হুমকি। পাহাড় কাটা যেমন অপরাধ, পাহাড়ের মাটি বিক্রিও সমান অপরাধ। পরিবশে বিনষ্টকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক ছাড় না দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।

Exit mobile version