বাড়ি অপরাধ রাতে ছাত্রীদের রুমে ডাকতেন মেডিকেলের এমডি, টয়লেটে গোপনে ক্যামেরায় ছাত্রীদের ন’গ্ন ছ’বি

রাতে ছাত্রীদের রুমে ডাকতেন মেডিকেলের এমডি, টয়লেটে গোপনে ক্যামেরায় ছাত্রীদের ন’গ্ন ছ’বি

0
রাতে ছাত্রীদের রুমে ডাকতেন মেডিকেলের এমডি

রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরু’জ্জামান স্বাধীনের বিরুদ্ধে যৌ’ন হয়’রানির অভিযোগ করেছেন আবাসিক ছাত্রীরা।রোববার (২৯ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠা’নটির সামনে একাধিক শিক্ষার্থী গণ’মাধ্যম’কর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তারা বলেছেন, এমডি স্বাধী’নের দুর্ব্য’বহার ও যৌন হয়রানির কারণে ভীতসন্ত্রস্ত তারা। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বাধীন ও তার কর্মচা’রীদের রো’ষানলে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

এদিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সম্প্রতি মেডি’কেল কলেজ হাসপা’তালটি পরিচাল’নার ক্ষেত্রে প্রয়ো’জনীয় নিয়ম’নীতি ও শর্ত পূরণ না করায় গত ২ নভে’ম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণা’লয় বন্ধের নির্দেশ দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের কর্ণধার মনিরুজ্জামান স্বাধীন। বেসর’কারি এই মেডিক্যালে ২০১৪ সাল থেকে সাতটা ব্যাচে ১৩৯ জন ছাত্রী ও ৭১ জন ছাত্র ভর্তি করা হয়। তারা আবাসন সুবিধা পান। কিন্তু এসব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যার হাতে, খোদ তার কাছে সব চেয়ে অনিরাপদ শিক্ষা’র্থীরা। বেশ কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী অভিযোগ করেন, রাতে বিনা নোটিশে মেয়েদের কক্ষে ঢুকে ‘যৌ’ন হ’য়রা’নি করতেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাধীন। এ ছাড়া টয়লেটে গোপ’নে ক্যামেরা রেখে ছাত্রীদের ন’গ্ন ছ’বি তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, রাত ১২টার পর স্বাধীন তার রুমে মেয়েদের ডাকতেন। তখন ২-১ জন সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি আপত্তি করতেন। যাকে ডাকা হবে তাকে একা যেতে হয়। এগুলো আসলে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তার দৃষ্টান্ত’মূলক শা’স্তির দাবি ক’রছি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে কলেজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযো’গের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।এ’সব অভিযোগের স’ত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো ধরনের অত্যাচার হয়ে থাকলে, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় দেখা হবে।

এদিকে গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার পর দায়ের করা মামলায় দুজনকে গ্রে’প্তার করতে সক্ষম হলেও বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক। তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পর’বর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার প্রয়োজনীয় কাজে কলেজটির আবাসিক হলে প্রবেশ করতে চাইলে শাহ মখদুম কলেজের কর্মচারীরা বহিরাগতদের নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২ শিক্ষার্থীকে আহত করে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় ওইদিন রাতে কলেজটির এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীনসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রিমা থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।