বাড়ি Featured News দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে ভারত সরাসরি জড়িত

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে ভারত সরাসরি জড়িত

0
দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে ভারত সরাসরি জড়িত

দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে ভারত জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে ভারত সরাসরি জড়িত। ভারতে গো মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়, আর আমাদের সরকার ঘাস চাষ শিখতে বিদেশে পাঠায়। কারণ তাদের প্রভু ভারত। আমাদের একটাই কাজ, প্রতিদিন প্রতিনিয়ত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে সরকার যেহেতু নির্বাচিত নয়, এজন্য দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে পরোয়া করে না। তারা কথা বলেন এক আর কাজে করেন আরেক। এই পুঁজিতন্ত্রের সাথে যোগ দিয়েছে ভারতীয় চক্রান্ত।

এ সময় নাগ‌রিক ঐক‌্যর আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ব‌লে‌ছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএন‌পি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরে দিতে পারে কিন্তু যারা জিনিসের দাম বাড়ায় তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিল – ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। আজ এক এক করে ১২ বছর তারা ক্ষমতায় আছে। যে চাল ১০ টাকা কেজি খাওয়ানোর কথা সেটা এখন ৬০ টাকা কেজি। কিন্তু সরকার এতে দুঃখিত না। প্রধানমন্ত্রী, সরকারের মন্ত্রী কোনো জায়গায় কথা বলার সময় বলেননি – ‘আমরা পারছি না, চালের দাম বেড়ে গেছে আপনাদের কষ্ট হচ্ছে।’

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, পেঁয়াজসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে, জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা তারা বলেননি। অথচ ১৫-২০ দিন পর পদ্মা সেতুতে একটা স্প্যান বসিয়ে তারা তাক লাগিয়ে দিতে চায় যে উন্নয়ন করছি। যে উন্নয়নে মানুষ না খেয়ে থাকে, যে উন্নয়নে মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেঁচে দেয়, সেটা কোনো উন্নয়ন নয়। উন্নয়ন হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান নিশ্চিত করা। এই সরকার সেটা মনে করে না। মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাটের রাজনীতি চলছে- এটা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। জিনিসের দাম বাড়ার পেছনে যুক্তি কি? সরকার কোনো যুক্তি দিতে পারেনি। তারা খালেদা জিয়ার কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরে দিতে পারে কিন্তু যারা জিনিসের দাম বাড়ায় তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।

তিনি বলেন, আপনি অসুখে মরবেন, ক্ষুধায় মরবেন তারপরও জিনিসের দাম কমাবে না। সিন্ডিকেটকে ধরতে পারবেন না তাই জিনিসের দাম কমাতে পারবেন না।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম‌্যান ডা. মোস্তা‌ফিজুর রহমান ইরা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে সমা‌বে‌শে আরো বক্তব‌্য রা‌খেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কোবির, যুব মিশনের সভাপতি মহিবুল্লাহ মেহেদি, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ।