বাড়ি জানা অজানা ছেলেদের মধ্যে যা পেলে মেয়েরা দু’র্বল হয়ে যায়

ছেলেদের মধ্যে যা পেলে মেয়েরা দু’র্বল হয়ে যায়

2
ছেলেদের মধ্যে যা পেলে মেয়েরা দু’র্বল হয়ে যায়

ছেলেদের কিছু গুন মেয়েদেরকে আকৃষ্ট করে, দু’র্বল করে তোলে। ছেলেদের কাছে এ বিশেষ গুনগুলো থাকলে তার প্রতি অনেক মেয়ের ভালবাসা জাগে। এ গুনগুলোর মধ্যে উচ্চতা, গায়ের রং বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের মাঝে আরও বিশেষ কিছু খোঁ’জেন মেয়েরা। বিষয়টা পুরোপুরিই মনো-দৈহিক। শ’রীর তো আছেই, স’ঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে আবেগ-অনুভূতিও। নারীর হূদয় জয়ে সফল হতে হলে এসব পুরুষালি গুণের চর্চায় মনোযোগী হতে পারেন আজ থেকেই। পড়ুন এমন ছয়টি গুণের কথা—

ফিটফাট থাকুন: নারীরা দীর্ঘদে’হী পুরুষ পছন্দ করেন বটে, তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গু’রুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। আ’সল বিষয় হলো নারী বুঝতে চায় আপনি নিজে’র যত্ন নিতে, ফিটফাট থাকতে পারছেন কি না। তাঁরা ভাবেন, যে পুরুষ নিজে’র দেখভাল ক’রতে পারেন না, তিনি আমা’র দেখভাল করবেন কী করে? সুতরাং, আলুথালু পোশাক, এলোমেলো চুল, নখ না কাটা বা ময়লা থাকা, মোজায় গন্ধ, ময়লা শার্ট বা জিনসের উদাসীনতার দিন শেষ। হালের নারীরা এসব একেবারেই পছন্দ করেন না। নারীর মন পেতে হলে এসব খামখেয়ালিপনা আজই ছাড়ুন।

নিজে’র রুচি তুলে ধ’রুন: দামি ব্র্যান্ডের জামা-জুতো হতে হবে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। আর যদি একটার স’ঙ্গে বেমানান আরেকটা এই ব্র্যান্ডের শার্ট, ওই ব্র্যান্ডের জুতো, সেই ব্র্যান্ডের জিনস হয় তাহলে তা আপনাকে দেখেই দৌড়ে পালাতে পারে যে কেউ। তাই সাধারণ দোকান থেকে কেনা হলেও পোশাকে-আশাকে নিজে’র রুচি পছন্দটা তুলে ধ’রুন। আর খেয়াল রাখু’ন তা যেন আপনার শা’রীরিক গড়ন আর গায়ের রঙের স’ঙ্গে মানানসই হয়। নিজে’র একটা স্টাইল গড়ে তুলুন।আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যেমন নারীদের ‘সন্ন্যাসিনী’ সেজে থাকা পছন্দ করেন না, ঠিক তেমনি আধুনিক নারীরাও ‘অফিস টাইপ’ পোশাকের পুরুষদের পছন্দ করেন না।

মুখে হাসি ফোটান: রসবোধ থাকাটা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পুরুষের চরিত্রে নারীরা এটা খোঁ’জেন। প্রাত্যহিক জীবনে এমনিতেই বহু ঝুট-ঝামেলা নিয়ে ত্যক্ত-বির’ক্ত হয়ে থাকার মতো যথেষ্টই কারণ থাকে নারীদের। তাই একজন মনম’রা টাইপ সঙ্গী তাঁদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই নিজে হাসুন, তাঁর মুখেও হাসি ফোটাতবে খেয়াল রাখতে হবে ঠাট্টা-তামাশা ক’রতে গিয়ে সব সময়ই অন্য কাউকে খাটো করা, আঘা’ত করা মোটেই কাজে’র কথা না। অনেক নারীই এটা রীতিমতো অপছন্দ করেন। আর যে পুরুষ হাসিমুখে নিজে’র ভুল স্বী’কার ক’রতে পারেন, নিজেকে নিজেই মশকরা ক’রতে পারেন, তাঁর প্রতি নারীদের আ’ক’র্ষণ কতটা তীব্র সে বিষয়ে আম’রা কিছু বলব না, আপনি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখু’ন। তাঁকে বুঝতে দিন যে আপনি যত্নবান: নারীরা সব সময়ই বারবারই এটা নি’শ্চিত হতে চান যে তাঁকে কেউ ভালোবাসছেন, তাঁর খেয়াল রাখছেন। তাঁর হাত ধ’রে হাঁটা, সুযোগ পেলে একস’ঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা—হোক তা বারান্দায় দুই মিনিটের জন্য, মাঝেমধ্যেই জড়িয়ে ধ’রা, রাস্তা পেরোনোর সময় তাঁর খেয়াল রাখার মতো কাজগুলোকে মোটেই অবহেলা করবেন না। আপনার এসব ছোট ছোট অভ্যাস থেকে অনেক কিছুই বোঝা যায়। কখনো কখনো রাস্তায়, বেড়াতে গিয়ে সবার সামনে তাঁর হাত ধ’রে হাঁটা মানে আপনি তাঁকে নিয়ে গর্বিত। তবে এ চর্চা যেন হয় জড়তাহীন, সাবলীল আর আতিশয্য বর্জিত।

ও চোখে চোখ প’ড়েছে: যখনই তাঁর চোখে চোখ রেখে তাকান। মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার চোখে সরাসরি তাঁর চোখে তাকালে একজন নারী যে অনুভূতি পান তার তুলনা করা দুষ্কর। আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন মনে হতে পারে তাঁর। আর মাঝেমধ্যেই চোখে চোখ রেখে তাকানোটা জ’রুরি। কেননা, অনেক কথায় যা হয় না, চোখের ভাষায় সেটা বলা